রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কবে উদ্বোধন করা হবে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কবে উদ্বোধন করা হবে
আপনাদের অনেকের প্রশ্ন রয়েছে যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কবে উদ্বোধন করা হয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আমি আজকের এই পোস্টের ভিতরে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কবে উদ্বোধন করা হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম প্লাটফর্ম উইকিপিডিয়া তথ্যমতে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র 2.4 সম্পন্ন একটি প্রকল্প রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বলা হয়। বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র 2023 সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখনও কাজ চলছে ধারণা করা হচ্ছে 2023 সালের শেষের দিকে হয়তো, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করা হবে। এবং এখান থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি বিদ্যুতের দূর করা সম্ভব, এবং বাংলাদেশকে বিদ্যুতের স্বয়ংসম্পূর্ণ করা সম্ভব।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি অবদান রাখতে যাচ্ছে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা সবাই জানি যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান এখানে ২.৪ গিগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
এটি 2023 সাল নাগাদ উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি সার্বিক কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়। তাহলে 2023 সালের ভিতর আমাদের রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি উত্তম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের রূপরেখা স্থান দখল করবে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত
আপনাদের অনেকের প্রশ্ন রয়েছে যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত। আজকের আমি এই পোস্টে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত এবং কি অবস্থায় রয়েছে সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করেছে।
পত্র-পত্রিকা এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন ইনফর্মেশন মূলক ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা বলতে পারি যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান। এটি বাংলাদেশের রাজশাহী শহর ঢাকা থেকে 200 কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অন্তর্গত ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে। এটাকে আমরা সংক্ষেপে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বলতে পারি এবং রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পদ্মা নদীর উপর নির্মিত হার্ডিং ব্রিজ ও লালনসা সেতুর পাশেই নদীর তীরে তৈরি করা হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাস
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে আমরা বলতে পারি যে বাংলা 1961 সালে প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। 1962 সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা নদীর পার্শ্ববর্তী রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল।
অনেক ধরনের সমীক্ষার মাধ্যমে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রকল্প টি যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে এটিকে 260 আবাসিক এলাকা এবং 32 একর জমির অধিগ্রহণ করা হয়।1967 সালের ভূমি উন্নয়ন অফিস এবং কিছু আবাসিক ইউনিয়ন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাংলা 1969 সালে 200 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সরকার বাতিল করে দেয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2022
আশা করা হচ্ছে যদি রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র 2023 সাল নাগাদ উদ্বোধন করা হয়, সেক্ষেত্রে এখানে অনেক বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে, এবং বাংলাদেশ সাইটগুলোতে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রধানত দেওয়া হবে কারণ এখানে পরমাণুবিষয়ক অনেক বিশেষজ্ঞ নেয়া হবে এবং অনেক ধরনের ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োজন হবে। যারা বিভিন্ন ধরনের মেইনটেনেন্স এর কাজ সম্পাদন করে থাকবেন এ জন্য বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং ওয়ার্কার হিসেবে অনেক লোক নেওয়া হবে। 2023 সালে আমরা রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেতে পারি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেতন কত হতে পারে
2023 সালে যদি রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয় সে ক্ষেত্রে সেখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং যেহেতু এটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেখানে অনেক বেশি আশা করা যায় এখানে বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারদের কে নিয়োগ দেওয়া হবে। যারা এই সকল কাজে দক্ষ থাকবে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে আর সর্বোপরি বলা যায় যে একটা ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ধরা হবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে বাংলাদেশে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প হচ্ছে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সেতু সেহেতু রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং ওয়ার্কার এর চাকরি দেওয়া হবে। বা চাকরি পাবে তাদেরকে একটা সম্মানসূচক বেতন ধরা হবে ধারণা করা হয় যে ষাট থেকে এক লক্ষ টাকা বেতন হতে পারে। একটি ইঞ্জিনিয়ারের এবং যারা শ্রমিকদের কাজ করবে তাদের 30 থেকে 35 হাজার টাকা বেতন ধরা হতে পারে।